রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ফ্যাসিস্ট আ.লীগের নেতা মোঃ কামরুল ইসলাম নান্টুর রাজধানী ঢাকায় আবাসিক হোটেলের নামে অবৈধ পতিতা, মাদক ও অস্ত্রের রমরমা ব্যবসা। কালের খবর শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় ইসলামী শ্রমনীতি চালু করতে হবে : আ ন ম শামসুল ইসলাম। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে পৌর বিএনপি। কালের খবর অন্তর্বর্তী সরকারের উদারতা কপালপোড়া জাতিকে অনন্তকাল ভোগাবে : হাসনাত। কালের খবর মাটিরাঙ্গা বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটির নেতৃত্বে জামাল-মুকুট। কালের খবর তিল ধারণের ঠাঁই নেই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। কালের খবর আমতলীতে ভূমি দস্যুর অত্যাচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন। কালের খবর নবীগঞ্জ প্রেস ক্লাব নির্বাচন সম্পন্ন : সালাম সভাপতি, ছনি সম্পাদক নির্বাচিত। কালের খবর সীতাকুণ্ডে জামায়াত নেতার ওপর হামলা, প্রতিবাদে মিছিল সমাবেশ। কালের খবর আমাকে ও আমার মেয়েদের কুপ্রস্তাব দেয় রাজ্জাক। কালের খবর
শিবগঞ্জ কানসাটে ৫৪/৫৫ কেজিতে মণ ধরে আম কেনা বেচা,চাষীরা হতাশ। কালের খবর

শিবগঞ্জ কানসাটে ৫৪/৫৫ কেজিতে মণ ধরে আম কেনা বেচা,চাষীরা হতাশ। কালের খবর

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি :

আমের রাজধানী নামে খ্যাত কানসাট সহ শিবগঞ্জর বিভিন্ন আমের বাজার, আমের ওজন নিয়ে চলছে নরাজ্যের উৎসব। প্রতি মন ধরা হচ্ছে ৫৪/৫৫ কজি আম।প্রতিনিয়ত আম ব্যবসায়ীরা প্রতারিত হচ্ছে।প্রশাসনের ভাষ্য হলো এটি প্রথায় পরিণত হয়েছে।তাই এটি রোধ সহজ নয়।তবে চেষ্টা করা হচ্ছে। সরজমিনে কানসাট আম বাজার নিয়ে কথা হয় শ্যামপুর ইউনিয়নর গোপালনগর গ্রামের আম ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমানর সাথে। তিনি জানান, আম বিক্রী করতে এস আড়তদারেরা যা করছে তা একবারে ডাকাতির সামিল।বিভিন্ন কৌশলে ওজন মণ প্রতি ৫৪/ ৫৫ কজি করে নিচ্ছে। তার উপর আবার কাঁটাওয়ালা(যারা ওজন করে) মণ প্রতি দুইটা করে, মহরাল(যারা লিখ রাখ) মণ প্রতি দুইটা করে ও শ্রমিকেরা মণ প্রতি দুইটা করে নিচ্ছে ।এ ছয়টি আমের ওজন প্রায় আড়াই থেকে তিন কেজি। শুধু তাই নয়, রাস্তায় কয়েক স্থানে জোর করে ডালি থেকে একটি বা দুইটি করে আম তুলে নিচ্ছে,হিজড়া,ডাম ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে।সব মিলিয় কানসাট বাজারে এক মণ আম বিক্রী করতে হলে প্রকৃতভাব আমের প্রয়োজন হচ্ছে প্রায় ৬০ কেজি আম দিতে হচ্ছে। একই কথা বললেন কানসাট এলাকার আনারুল ইসলাম, কানসাট কলেজ পাড়ার একরামুল হক, শাহাবাজপুর নয়াগা গ্রামর হুমায়ুন আলী, পারদিলালপুর গ্রামর দুরুল হক মুসলিপুর গ্রামর একরামুল হক,সানামসজিদ এলাকার ইসমাইল হক,কানসাট কলাবাড়ি গ্রামর সাইদুল ইসলাম মুসলিমপুর গ্রামর বকুল ইসলাম, বানী ইসরাইল হক, মনাকষা ইউনিয়নর শুকুদ্দি মন্ডল সহ শত শত আম ব্যবসায়ী ও আম চাষীদের একই অভিযাগ। বিশিষ্ট আম ব্যবসায়ী ও আম উদ্যোক্তা ইসমাইল হক শামীম খান বলেন ওজনর ক্ষেত্রে যে আম বেশি নেওয়া হচ্ছে তা মূলত চাষীদর লাসকান ।কারণ কানসাটে আম ব্যবসায়ী আম ক্রয় করার সময় ওজন ৫৪/৫৫ কেজি নিচ্ছে। আবার আম ব্যবসায়ী ও আম চাষীরা কানসাটে আম বাজারে ঢুকার আগই ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা রাস্তাতেই আম ক্রয করে নিচ্ছে। তিনি বলেন আম চাষীরা এক মন আম উৎপাদন করতে প্যাকেট ছাড়াই ৪০ কেজিতে মণ ধরে প্রায় ৫শ টাকা খরচ করে। সে আম বিক্রী করার সময় যদি ৫৫ কজিত মণ ধরে বিক্রী করতে হয় তাহলে তাদের খরচ হচ্ছে প্রায় সাড়ে ছয় শত টাকা।প্যাকেট করা আম উৎপাদনে খরচ আরও বেশি। ৫৫ কেজি আম উৎপাদনে খরচ হবে প্রায় ১৪শ টাকা। কাজেই ওজনর ক্ষেত্রে একটা সমাধান হওয়া উচিত। আমরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সভায় আমরা কয়েকবার দাবী করেছি। তিনি আশ্বাসও দিয়েছেন কিন্তু এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। কানসাট আম আড়তদের সমিতির সাধারণ সম্পাদক উমর ফারুক টিপু বলেন,ওজন বেশি নেওয়া আম যাচ্ছে দেশের বিভিন জেলা থেকে আসা বড় ব্যাপারীর কাছে।তারা আম ব্যবসায়ীদর জিম্মি করে বাধ্য করে ৫৪/৫৫ কেজিতে মণ ধরে আম নিচ্ছে। এখান আম আড়তদারদের কোন কিছু করার নেই। তবে আমাদরও দাবী এ প্রতারণা থেকে আম ব্যবসায়ী ও আম চাষীদর উদ্ধার করা হোক। শিবগঞ্জ উপজলা কষি অফিসার কষি বিদ শরিফুল ইসলাম জানান,আম চাষী ও আম ব্যবসায়ীরা ওজনের ক্ষেত্রে প্রতারণার শিকার হচ্ছে।কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কিছু করার নেই। এটি করবে স্থানীয় সরকার প্রশাসন। তবে উপজলা পরিষদের সম্বন্নয় কমিটির সভাপতি কাছে বার বার তুলে ধরেছি। আমি আবারা উর্দ্ধতন কর্তপক্ষের দষ্টি আকর্ষন করছি সুষ্ঠু সমাধানের জন্য। শিবগঞ্জ উপজলা নির্বাহী অফিসার আবুল হায়াত বলেন এটি শুধু চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় নয়, রাজশাহী ও নওগাঁ জেলাতেও ৫৪/৫৫ কেজিতে মণ ধরে আম কেনা বেচা হচ্ছে। শুধু চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় এটি রোধ করা হলে সমস্ত ব্যাপারী অন্য জেলাতে গিয়ে আম ক্রয় করবে।ফল এখানকার আম ব্যবসায়ী ও আম চাষীরা খুব জোরে হোঁচট খাবে। তবে এটি নিয়ে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আলাচনা করে সমাধান হতে পারে।আমি জেলা প্রশাসকের দষ্টি আকর্ষন করছি। স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা: সামিল উিদ্দন আহম্মদ শিমুল বলেন,আম চাষী ও আম ব্যবসায়ীদেরকে প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা করতে আমরা দ্রুত বিভাগীয় কমিশনারের সাথে আলাচনা করে রাজশাহী, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসকদের নিয়ে সম্বন্নয় সভা করে ৪০ কেজিতেই মণ ধরে আম কেনা বেচা করার ব্যবস্থা নিবে। তিনি আরা বলেন প্রয়োজন এ বিষয় নিয়ে সংসদেও কথা বলবো।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com